মাসজুড়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ; লেখক-পাঠক-প্রকাশক ও দর্শনার্থীর মিলনমেলায় মুখর ছিল ঢাকা তথা বাংলা একাডেমি ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তবে যে পাঠক সমাগমের আশা করা হচ্ছিলো সেটি হলো না শেষদিনে। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটেনি নগরবাসীর। যে কারণে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আসা হয়নি প্রাণের মেলায়।
তবে গেল বছরের বইমেলার তুলনায় এ বছর বই বিক্রি বেশি। মেলায় স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও গোছানো হওয়ার পরামর্শ দর্শনার্থী ও স্টল মালিকদের। এছাড়াও আগামীতে বইমেলার জায়গা পরিবর্তন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। যেভাবেই হোক বাংলা একাডেমির আশেপাশে মেলা করতে চান তারা।
প্রকাশকরা বলেন, 'বইমেলার জায়গা যদি পরির্বতন করা হয় তাহলে মেলা জমবে না। কারণ, এই মেলা হচ্ছে ভার্সিটি এলাকার মেলা।' আরেকজন বলেন, 'শেষের যে দু'দিন বইমেলা বাড়িয়েছে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম ওইরকম পাঠক আসেনি।'
বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানও আচ্ছন্ন করে রাখে বেইলি রোড ট্র্যাজেডি। ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও নিহতদের স্মরণে আতশবাজি স্থগিত করে বাংলা একাডেমি।
গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবার বইমেলা সফল বলে দাবি আয়োজকদের। এ বছর প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বেচাকেনা হয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা। যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা বেশি। আয়োজনে মানসম্পন্ন বই ও নান্দনিক প্রকাশনাকে পুরস্কৃত করা হয়।
বইমেলায় এবার নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭শ' ৫১টি। আর এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান।