ছুটির দিনে শিশু প্রহরে কচিকাঁচাদের ভিড়, সিসিমপুর না থাকায় হতাশা

দেশে এখন
0

ছুটির দিনে শিশু প্রহরে ভিড় জমিয়েছে কচিকাঁচার দল। অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছেন শিক্ষকরাও। তবে সিসিমপুরের আয়োজন না থাকায় কিছুটা মন খারাপ শিশুদের। বিক্রেতারা বলছেন, বেচাকেনায় শিশু প্রহর জমে উঠেছে বেশ।

ছুটির দিন মানেই বইমেলায় কচি-কাঁচাদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি। সকালে মেলার গেট খুলতেই তাই শিশুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে বইমেলার শিশু প্রহর।

বাবার সাথে সায়েন্স ফিকশন বই দেখতে মেলায় এসেছে ক্লাস ওয়ান পড়ুয়া সারাফ। নতুন নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহের ছাপ তার চোখেমুখে।

সারাফ জানায়, তার বই পড়তে ভালো লাগে। সে বিজ্ঞান বই পড়ে। সারাফেরে বাবা বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে বাচ্চাদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে না। এজন্য নিয়ে আসা।’

সারাফের মতো বাবা মার হাত ধরে বইমেলায় এসেছে অনেকেই। তবে, এবার সিসিমপুরের আয়োজন না থাকায় হতাশ শিশু ও অভিভাবকরা।

শুধু ক্ষুদে পাঠক নয়, পাশাপাশি অনেক ক্ষুদে লেখকের বই প্রকাশ পেয়েছে মেলায়। এমনই একজন আহসানুল বাশার। জানালো তার গল্পকার হয়ে ওঠার গল্প।

বইমেলার শেষের দিকে অনেক স্কুল থেকে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছে শিক্ষকরা। বইয়ের সাথে পরিচয় করাতে বিভিন্ন স্টলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চাদেরও নিয়ে আসতে দেখা যায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে। স্টল মালিকরা বলছে, সিসিমপুরের আয়োজন না থাকায় গ্রাহক কমলেও বই বিক্রি ভালো।

বইমেলার শিশু প্রহরকে আগামীতে আরও বড় পরিসরে করার দাবি অভিভাবকদের।

এএইচ