পরে সন্ধ্যায় চৌয়ালা শিল্প এলাকার ৩০০ ফ্যাক্টরির ২০ হাজার শ্রমিক কাজে যোগদান করে। আজ রাত ৯ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ক্যাপেন রাকিব।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে চৌয়ালায় ইয়ামিনের একটি টেক্সটাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন শ্রমিক মারা যায়। এরপর থেকে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছিলো। তাদের দাবিগুলো ছিলো, প্রতিটি কারখানায় অটো সার্কিট ব্রেকার স্থাপন, দুর্ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসার সুব্যবস্থা, আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উপর অহেতুক নির্যাতন, মামলা বা হয়রানি না করা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিক ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা ও নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা।
চৌয়ালা শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু আলী খান বলেন, 'সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগদান দিয়েছে। বর্তমানে সকল ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে।'
সেনাবাহিনী জানায়, নরসিংদীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ইউনিট দেশ বিনির্মাণে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ করে যাচ্ছে । যার মধ্যে সংখ্যালঘু এলাকা ও মন্দির, সকল থানা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই সমূহ) এবং সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও নরসিংদীতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন থেকে শুরু করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর এই ইউনিট অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে।