নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্থলবন্দরের সড়কের দুই পাশের পার্কিং করে রাখা হয় যানবাহন। যাতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে লোকাল বাসটার্মিনাল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
তীব্র যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে তাদের।
একইসঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। ট্রাফিক নিরসনে কোন ব্যবস্থা না থাকা ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল চালু না হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানিতে প্রায় ৭শ' যানবাহন চলাচল করে। তাই বাস ও ট্রাক টার্মিনাল চালু করার বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বারবার চিঠি দেয়া হলেও মেলেনি প্রতিকার।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, অধিকাংশ সময় কয়েক কিলোমিটার যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছি। পৌর টার্মিনাল চালুর বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। পৌর বাস টার্মিনাল দ্রুত চালু হলে আশা করি এই যানজট নিরসন হবে।’
গত ৩ বছর ধরে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে খরচ করা হয় ১৬ কোটি টাকা।