উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, স্ব স্ব ব্যাংকের এমডির পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
এরপর স্ব স্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে এসব এমডির নিয়োগ চুক্তি চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ীই তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাতিলের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকগুলোর এমডিদের মধ্যে রয়েছেন জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার, সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান ও বিডিবিএলের এমডি হাবিবুর রহমান গাজী।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওই চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ও পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদিত চুক্তিপত্র অনুযায়ী, তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিলের বিষয়ে পরবর্তী বিধিগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মূলক রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডি নিয়োগ দেয়া হয় চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে। তবে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে চিঠিতে কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করার বিষয়ে সুপারিশ করে এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের স্থলে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি।