তিনি বলেন, ‘দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কারণ সরকার যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুদ করেছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।’
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করছে। এ বছর হাওরসহ সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে দেশের খাদ্য উদ্বৃত্ত হবে।’
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘কৃষকরা দেশের উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। সরকার কৃষকদের সহযোগিতা এবং তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’
এ সময় তিনি হাওরের সেচ সমস্যা, অবৈধভাবে খাল-বিল শুকিয়ে ফেলা, সারবীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, ফসল সংরক্ষণ ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে।’
খাদ্য উপদেষ্টা ভাত শালা হাওরের বোরো জমি ঘুরে দেখেন এবং সরাসরি কৃষক ও জিরাতিদের সাথে কথা বলেন। তিনি তাদের সমস্যা শুনে, দ্রুত সমাধান দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষকদের সমস্যার সমাধানে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করছে।’
এসময় কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলশাদ জাহান, অষ্টগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকারসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।