মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে এখন
0

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ও রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা। আজ (শনিবার, ৫ এপ্রিল) সন্ধ‍্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার নিজ বাসভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বুধবার (বাংলাদেশি সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল। এতে শঙ্কায় পড়েছেন পোশাক খাত দেশের অন্যান্য রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা।

পরদিন বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে এনবিআর কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তিসঙ্গতভাবে কমাতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ সমস‍্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

একইদিন প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দূঢ় আশা প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, 'আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।'

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান দুই রপ্তানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয় দেশটিতে।

আরো পড়ুন: 'যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনায় কাজ করছে এনবিআর'

যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, মূলত যা তৈরি পোশাক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলারে।

নতুন করে উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ও অর্থনীতিবিদরা।

এসএস