আপনজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা চলছে। টানা ৯ দিনের ছুটিতে এবারের ঈদ যাত্রায় মোটামুটি স্বস্তি নিয়েই বাড়ি ফিরছে মানুষ।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন মোড়ে যত্রতত্র যাত্রী উঠানোয় যানবাহন চলছে কিছুটা ধীর গতিতে। খুব বেশি দীর্ঘ না হলেও কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
চন্দ্রা মোড়ে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে বাস কাউন্টার বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। দীর্ঘ সময় বাসের জন্য সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এছাড়াও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ঈদের মধ্যে বাড়তি ভাড়া চাইবে এইটা স্বাভাবিক।’
চালকদের একজন বলেন, ‘রেগুলার চেয়ার কোচের ভাড়া ৬০০ টাকা কিন্তু ঈদের কারণে ৮০০ টাকা। খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয় যার ফলে ভাড়া একটু বেশি নিতে হচ্ছে।’
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। ড্রোন পর্যবেক্ষণ, মোটরসাইকেল পেট্রলিং, কুইক রেসপন্স টিম ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুলিশ কাজ করছে। একইসঙ্গে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কয়েকশ ভলেন্টিয়ার কাজ করছে মহাসড়কে।
উত্তরের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্রাকের ছাদে পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
এই মহাসড়কে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদ যাত্রা আরামদায়ক করতে প্রায় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক উল্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও রোভার স্কাউট সদস্যরা। কুমিল্লার অংশের যানজট প্রবন ১২টি হটস্পটে যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির।
এদিকে, প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে প্লাটফর্মে। শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ২০টির মতো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। দৈনিক ২০ টির মতো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে নানান গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে।
এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চাপ থাকলেও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। যাত্রী ও যানাবাহন পারাপারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ।