‘এখনো বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, যারা চাঁদা নেয় তারা মনে করে এটা তার অধিকার’

এখন জনপদে
দেশে এখন
0

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এখনো বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি, যারা চাঁদা নেয় তারা মনে করে এটা তার অধিকার। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি সেখানেও পূর্বের মত বিভিন্ন উপায়ে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসের মত ঘটনাগুলো চলমান আছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকার প্রথম থেকে স্পষ্টভাবে বলছি, যে তরুণরা আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যত। শিশু-কিশোররা আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যত। আমরা তাদের যেভাবে গড়ে তুলবো আমরা ভবিষ্যতে সেরকম একটা বাংলাদেশ পাব।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন কিছুদিন আগে কোম্পানিগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানে শত সহস্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি, সেখানেও পূর্বের মতো চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মত ঘটনাগুলো চলমান আছে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে এসেছি অনেকে মনে করে চাঁদা দেয়াটাও মনে হয় আমার দায়িত্ব। আমাকে যে কেউ একটা টোকেন ধরিয়ে দিল, আমাকে ৫০ টাকা ১০০ টাকা দিতে হবে। আবার যারা চাঁদা নেয় তারা মনে করে এটা তার অধিকার। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবেই চলে আসছে এখন কেন চলবে না।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ওইসব চাঁদাবাজদেরকে স্পষ্ট করে একটা বার্তা দিতে চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পূর্ববর্তী কোনো প্র্যাকটিস আর বরদাশত করা হবে না।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চায় গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা জীবন দিয়েছে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য। সে বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ববর্তী সময়ের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ যেই বিষয়গুলো তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে সেগুলোকে খুব শক্ত হাতে দমন করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সারাদেশের তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাতে চাই। আপনারা যেখানেই চাঁদাবাজি দেখবেন, বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেনের মাধ্যমে টাকা নেয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিবাদ করবেন এবং রুখে দিবেন।’

মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩টি ইভেন্টে কয়েকশত প্রতিযোগী অংশ নেন। হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩টি ইভেন্টের ১৬ জন প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে ৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

ইএ