‘সংস্কার ও নির্বাচন—কোনটি আগে, কোনটি পরে এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই’

দেশে এখন
0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচন—কোনটি আগে, কোনটি পরে এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেয়া ‘স্প্রেডশিট’ বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের সাথে মিলে যাচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ (শনিবার, ২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আগামীকাল (রোববার, ২৩ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাবপত্রের মতামত জমা দেবে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের সুপারিশমালায় বোঝা যাচ্ছে— এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।’

অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশমালায় কমিশনগুলোর প্রস্তাবে এটি প্রতীয়মান হয় যে, তারা আইন ও নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতাহীন করতে চায়। যার মাধ্যমে একটি অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইন শাসন নিশ্চিত করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করা। সংস্কার আগে নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে সংস্কার পরে—এমন অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কাজেই সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগ যেন নেয়া হয়, যাতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বিনষ্ট না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিনা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এসএস