নিজ দেশে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন মানবিক বাংলাদেশে। দীর্ঘ ৭ বছরের ক্যাম্প বন্দী জীবনে তারা বয়ে বেড়াচ্ছেন দুসহ স্মৃতি। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য এই সংকট দিনে দিনে বিষফোঁড়া থেকে গলার কাটা হয়ে উঠছে। ঠিক এমন একটি সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই আগমন কতটা শান্তির বার্তা বয়ে আনলো, তার জন্যই উন্মুখ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকা এসব নারী শিশুরা।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে কাছে পেয়ে নিজ দেশের গণহত্যার বিচার চাইলেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গা নারী শিশুরা। আকুতি জানালেন মর্যাদার সাথে মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে। তুলে ধরেন বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার সেই নির্মম নির্যাতনের ইতিহাস।
শুক্রবার দুপুর ঠিক সোয়া দুইটায় কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শনে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব৷ প্রথমেই প্রবেশ করেন লার্নিং সেন্টারে। মনোযোগ দিয়ে শুনেন শরণার্থী শিবিরের নারী শিশুদের কথা। ঘুরে দেখেন রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার। অনেকটা আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গাদের ঘরগুলোতে প্রবেশ করেন তিনি। নিজ চোখে দেখেন তাদের মানবেতর জীবন।
এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উখিয়া ক্যাম্পে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন গুতেরেস। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা শেষ করে জাতিসংঘ মহাসচিব পরিদর্শন করেন রোহিঙ্গাদের উৎপাদিত কারুপণ্য। কথা বলেন, রোহিঙ্গা তরুণদের সাথে।
এরমধ্যেই কক্সবাজার শহরের কার্যক্রম শেষ করে বালুখালি ক্যাম্পে এসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে যুক্ত হোন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাথে নিয়ে স্মরণীয় এক ইফতারে।