১৫ বছরের স্বৈরশাসন, সরকারের প্রতিটি খাতের দুর্নীতির কারণে অভুত্থান পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। সে সময় শিক্ষার মানন্নোয়েন দায়িত্ব পান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। গত সাত মাসে তাকে সামলাতে হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অটো পাসের ইস্যু, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর দাবি, প্রতিষ্ঠানের সরকারিকরণ, সাত কলেজের দাবি, পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি।
একই সাথে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কর্ম চাপ কমাতে তার স্থলাভিষিক্ত হলেন অধ্যাপক সি আর আবরার। বুধবার সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন থেকে শপথ গ্রহণ করে সরাসরি চলে আসেন নতুন এই শিক্ষা উপদেষ্টা। সেই উপলক্ষে মন্ত্রণালয় থেকে আয়োজন করা হয়েছে বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমে কথা বলেন সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জানান, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে চলতে হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ সম্পন্ন হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'আমি বলেছিলাম ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত কিন্তু মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে সব বই সব জায়গায় পৌঁছে যাবে।'
এসময় ওয়াহিদউদ্দিন জানান, স্বল্প সময়ের সংস্কার কমিশন দিয়ে স্থায়ী সমাধান হবে না। সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক সরকারকেই। জানান, এই বছরের ঈদুল আযহা থেকেই বেসরকারি শিক্ষকদের চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা দেয়া হবে।
সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, 'মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান না করে কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে একটা কমিশন করবো, কী করবে তারা? তাদের স্থানীয় লেভেলের সমস্যাগুলো বুঝতেই সময় লাগবে কয়েক মাস। আমরা যে ছয় মাস বা তিন মাসের কমিশন বানিয়েছি, টা কিছু করতে পারবে না। এটা রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকারেরই করা উচিত।'
এরপরই বক্তব্য দেন নতুন দায়িত্ব নেয়া উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। শিক্ষার্থীরা যেন দেশে থেকেই আয় ও বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে পারে সেই কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, 'হাইইমপ্যাক্ট স্বল্পমেয়াদী বিষয়গুলোকে আমরা হাইলাইট করবো। এমন শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।'
বক্তব্য শেষে ফুল দিয়ে বিদায়ী উপদেষ্টাকে বিদায় অভিবাদন ও নয়া উপদেষ্টাকে স্বাগত জানায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।