শেখ হাসিনার স্বৈরাচার হয়ে উঠতে যে কয়টি অনুষঙ্গ কাজ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচন। ভোটারবিহীন নির্বাচন, রাতের ভোট কিংবা সর্বশেষ ২৪ এর ৭ জানুয়ারি পাতানো নির্বাচনের পেছনে তৎকালীন প্রশাসন ও আমলারা কাজ করে।
এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। গেল সপ্তাহে ২০১৪ ও ১৮ এর বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে দুই আদেশে ৪৫ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়।
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ব্যবস্থা নেয়া জবে না বলে জানিয়ে সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাচ্ছেন ৯ অতিরিক্ত সচিব। ২০২৪ এর নির্বাচনে অংশ নেয়া ডিসিদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে শুধু তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যাপারেও দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বঞ্চিত ৯ কর্মকর্তাকে শিগগিরই সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে ।
যেসব কর্মকর্তারা অবসরে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।