ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবে মেতেছে ঢাবির বকুলতলা

দেশে এখন
0

শহর যেন আজ সেজেছে বাসন্তী রঙ্গে। প্রেম ও সংগ্রামের প্রতীক বসন্তকে বরণে ব্যস্ত নগরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুল তলা থেকে বইমেলা সবখানেই বসন্তের আমেজ। সাথে ভালোবাসা দিবসের উদযাপনেও বর্ণিল রাজধানী। তরুণদের আশা, জুলাইয়ের আবহে গড়ে উঠুক ভালোবাসার নতুন দেশ।

প্রকৃতিতে যখন বসন্তের আগমনী সুর, তখনই ভালোবাসা দিবসের মোহ ছড়িয়ে দিয়ে শুরু হলো ঋতুরাজ বসন্ত।

প্রকৃতি সেজেছে রঙের মোহনায়, ফুলে ফুলে সোনালি স্পর্শ। ফুলের মৃদু সুবাসে মাতাল দিগন্ত। হাওয়ায় ঘুরছে রঙের মৃদু সুর, যেন ঝংকার তুলছে বসন্তের বীণায়।

সবুজের পরশে গাইছে ধরণী, গানের সুরে ভরে উঠেছে আকাশ-বাতাস, প্রকৃতির বুক জুড়ে ধ্বনিত হচ্ছে এক অনন্ত সঙ্গীত।

ফাল্গুন প্রকৃতির নবজাগরণের ঋতু, প্রেম ও সংগ্রামের প্রতীক। তাকেই বরন করে নিতে ব্যস্ত এই নগরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুল তলা সেজেছে রঙিন সাজে। চলছে ফাল্গুন বন্দনা।

বসন্তে বরণ করে নেওয়ার উৎসবে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। প্রতিবারের মতো এবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে এ ধরনের আয়োজনে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরা।

শিশুদের নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয় এই বসন্ত উৎসব। তাইতো, তাদের নিয়ে এমন আয়োজনে এসেছেন অভিভাবকরা।

আয়োজকরা বলছেন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এ ধরনের বসন্তকে বরণ করে নেয়ার মত আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে। জহির রায়হান বলেছিলেন, ‘আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো!’ ফাল্গুন তাই শুধু প্রকৃতির নয়, বাঙালির সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, নতুন দিনের সূচনারও প্রতীক।

এএম