সন্ধ্যার পর থেকেই মানিকগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় ছাত্রদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। একে একে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন। তারা 'খুনি হাসিনার বিচার চাই', 'শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না'— এমন নানা স্লোগানে চত্বর প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলেন। এরপরই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চত্বরের স্থাপনাটিতে ভাঙা শুরু করে। পরে আট সাড়ে আটটার দিকে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রমজান মাহমুদ বলেন, 'স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ভারতে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যের প্রতিবাদেই আজকের এই কর্মসূচি। স্বৈরাচার হাসিনা নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। আওয়ামী লীগ যতদিন পর্যন্ত এই হত্যার দায় স্বীকার না করবে এবং যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা না করবে, ততদিন পর্যন্ত এদেশে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।'
এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক, সাইয়েদুর জামান নুর আলভি, আশিকুর রহমানসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।