শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স

দেশে এখন
0

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। এছাড়া একীভূতকরণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমিয়ে আনা ও অটোপাস বন্ধের সুপারিশও করা হয়েছে। আজ (সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ একথা জানান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষকদের প্রমোশন না দিতেও সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর উন্নয়ন কৌশল পুনর্গঠন, আর্থিক ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর খুঁজে বের করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য ১২ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

গেলো বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত এই টাস্কফোর্স প্রতিবেদন জমা দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সোমবার দুপুরে এই প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা সংস্কার খাত নিয়ে কথা বলেন।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করেছে এই টাস্কফোর্স। প্রতিবেদনে বলা হয় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত।

শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আচরণবিধি থাকতে হবে। ছাত্রদের রাজনীতির একটা পরিচয় আছে। আবার তাদের নিজেদের একটা আচরণবিধি থাকতে হবে। একটা দেশ, সমাজ সবকিছু মিলিয়েই একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের আচরণবিধি তৈরি করে।'

হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারছে না উল্লেখ করে প্রতিবেদনে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমানোর সুপারিশ করেছে এই টাস্ক ফোর্স। এছাড়া অটোপাশ বন্ধ ও কোচিং নির্ভরতা কমানোর ওপর সুপারিশ করেছে।

একটি শক্তিশালী সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দশক ধরে ব্যাংকিং খাতকে দুর্বল করে রেখেছে তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রভাব দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া প্রয়োজন।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন খাতে সংস্কারের সুপারিশ এসেছে যার মধ্যে সরকারি হাসপাতাল, গ্রামীণ স্কুল ও ক্লিনিক, বিআরটিএ সংস্কারসহ বুড়িগঙ্গা নদীর পুনরুজ্জীবন, একটি মন্ত্রণালয় সংস্কারের মতো বিষয়গুলো।

এসএস