১০ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ইজতেমার প্রথম পর্বের জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত

দেশে এখন
0

টঙ্গী তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে জুমার নামাজে অংশ নেন অন্তত ১০ লাখ মুসল্লি। নামাজ শেষে বিশ্ব শান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় করা হয় দোয়া। এর আগে ভোর থেকে খিত্তায় খিত্তায় চলে তালিম বয়ান, আমল ও জিকির। ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছেন ৪১টি জেলার মুসল্লিরা। আছেন ৭৫টি দেশের মেহমানরাও।

ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই সব পথ এসে মিলেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। এদিন ঢাকাসহ ৪১টি জেলার তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বি ও সাথীরা ইজতেমা মাঠে নিজ নিজ খিমা ও খিত্তায় আমলে বসেন।

প্রথম পর্বের প্রথম দিনে ফজরের নামাজের পরপরই হালকা বয়ান শুরু করেন মাওলানা জিয়াউল হক। চলে জিকির ও দ্বিনি আলোচনা। ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে বয়ানের মূল মঞ্চ থেকে দেয়া হয় নসিহত ও তাশকিল।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা জানান, মানবজীবনে মুক্তির লক্ষ্যে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ও গ্রহণ করা নবুয়তি কাজ। এ ধরনের ধর্মীয় জমায়েতে অংশগ্রহণে ঈমান মজবুত হয়।

ইজতেমায় আসা একজন বলেন, 'আখেরাত কামানোর জন্যই আমরা সবাই আসছি। ওলামা একরামের ইজতেমা, তাদের মোহাব্বত করি সেজন্য এসেছি। এখানে লাখ লাখ মানুষ এসেছে।'

দুপুর হওয়ার আগেই ১৬০ একর ময়দান ছাপিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জুমার নামাজে অংশ নিতে অবস্থান নেন আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড, টঙ্গীব্রীজ, কামাড়পাড়া, চেরাগআলী ও গাজীপুরের আশপাশের এলাকায়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণের এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

মোনাজাতে দেশ ও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহের সুখ শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। ইহকালের পাপ মোচন,পরকালের পথ মসৃণ করতে প্রার্থনা করা হয় আল্লাহর নিকট।

নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জানান, রাসূলই হলেন ইসলামের আহ্বানকারী। রেসালাতের মহান এই কাজ শুধু আরব জগতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এর ব্যাপকতা ছিল সমগ্র মানব জাহানে।

ইজতেমায় আসা একজন বলেন, 'এখানে আসার পর একজন মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, না, আমার জিন্দেগি ভুলে ভালে ছিল এখন সেটা প্রসিদ্ধ করতে হবে।'

এবার পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তায় পাঁচ শতাধিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি খিত্তায় থাকছে দু'জন করে ফায়ার ফাইটার ও ড্রোন।

বরাবরের মতো এবারও ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ থেকে ১০টার মধ্য মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়দানে জেলাভিত্তিক খিত্তা নম্বর ও ম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসএস