বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয় চুয়াডাঙ্গার শহরের পৌর মুক্তমঞ্চের মাঠ। শ্লোগানে বক্তৃতায় জমে ওঠে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা। মঞ্চে ওঠেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আন্তর্জাতিক সেল সদস্য মোল্লা ফারুক এহসানসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। পরে একে একে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্মূল করে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। জানান, সংসদে আসনের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কেনা যাবে না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'আমাদেরকে হাসিনা কিনতে পারেনি, আমাদের আওয়ামী লীগ কিনতে পারেনি। আমরা দীপ্ত কণ্ঠে বলতে চাই, এই তরুণ প্রজন্মের সাথে আপনারা যারা বেইমানি করবেন, আপনারা আমাদের আসনের লোভ দেখাবেন, আপনারা বলবেন আমরা উমুক আসন ছেড়ে দিবো। সংসদের একটা সিট দিয়ে আপনারা আমাদের কিনতে পারবেন না।'
সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির আন্তর্জাতিক সেল সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যে ও হাটবাজার দখলের প্রলোভন দেখিয়ে লাভ হবে না। আগে, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে- তারপর নির্বাচন। অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও সুষম বিপণনের মাধ্যমে জেলার প্রান্তিক চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
মোল্লা ফারুক এহসান বলেন, 'আপনারা যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের, আমাদের প্রত্যেককে মাঠে থেকে অধিকার বুঝে নিতে হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা এই জায়গায় চাঁদাবাজি করার সুযোগ দিবো না।'
সভায় বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন বক্তারা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সামাজিক অসঙ্গতি দূর করে গণতান্ত্রিক চর্চায় ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।