প্রথম ধাপে মালেয়শিয়া যেতে অগ্রাধিকার পাবে প্রায় আট হাজার কর্মী

দেশে এখন
0

নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি কারিগরি দল। তারা ইতোমধ্যেই যাচাই বাছাই করে প্রথম ধাপে প্রায় আট হাজার কর্মীকে মালয়েশিয়া প্রবেশের যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মালয়েশিয়া যাত্রায় তারা অগ্রাধিকার পাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম।

কলিং ভিসা থাকা সত্ত্বেও গেলবছর ৩১ মে এর মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এরপর বছর পার হতে চললো। তবুও কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় গেল সপ্তাহে মাঠে নামেন কর্মীরা। যদিও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় মালয়েশিয়া চাইলে ১৫ দিনের মধ্যেই কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে একটি কারিগরি দল। এরইমধ্যে যাচাই বাছাই শেষে দলটি প্রাথমিকভাবে সাত হাজার ৯৬৪ জনকে মালয়েশিয়া প্রবেশের যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মালয়েশিয়া যাত্রায় তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

পররাষ্ট্র মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, 'বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ১৭ হাজারেরও বেশি আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের তালিকার প্রেক্ষিতে মালেয়শিয়ার পক্ষ তাদের প্রাসাঙ্গিক স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে তথ্য যাচাই করে প্রাথমিকভাবে সাত হাজার ৯৬৪ জন শ্রমিকের একটি তালিকা সম্পর্কে অবহিত করেছে। যাদের তারা প্রথম পর্যায়ে মালেয়শিয়ায় প্রবাসের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র তুলে ধরেন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের চিত্র। জানান, এই মুহূর্তে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। যার মধ্যে ৪৯ শতাংশ পুরুষ, ৫১ শতাংশ মহিলা। আর প্রতিবছর নতুন করে ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা শিশু যোগ হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে।

মো. রফিকুল আলম বলেন, 'বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে। বর্তমানে এক দশমিক তিন মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অবস্থান করছে। নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৫২০ জন। যার মধ্যে দুই লাখ চার হাজার ২৭৪টি পরিবার রয়েছে।'

এসময় সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন করা হয়, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদে না থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হযেছে কি না? মুখপাত্র জানান, দুদকের চিঠি এখনও হাতে পাননি তারা।

এসএস