রাজনীতি
দেশে এখন
0

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবার আগে সংস্কার করতে হবে’

যে যন্ত্রপাতি দিয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল সেই যন্ত্রপাতি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবার আগে সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ (রোববার, ২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পুলিশ যেন কথায় কথায় মানুষের ওপর গুলি চালাতে না পারে সে জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নানা কারণে মানুষ বা জনতার মিছিল হতে পারে। সেখানে গুলির বদলে টিয়ারগ্যাস মারতে পারেন, লাঠি চার্জ করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘এই ১৬/১৭ বছরে শেখ হাসিনা বিএনপির কোনো মিছিল বা স্লোগানের আওয়াজ শোনার সাথে সাথেই শটগান দিয়ে গুলি করছে। তাতে কত মানুষ আহত বা নিহত হয়েছে। নতুন করে পুলিশ বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলেই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের আহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। একজন নিরীহ মানুষ যদি অত্যাচারিত হয় তাহলে সে যেন আদালতের আশ্রয় নিতে পারে এবং সে আদালত যাতে তার ন্যায় বিচার করতে পারে। এর চেয়ে বড় সংস্কার আর হতে পারেনা। আর এগুলো করার জন্য তেমন সময়েরও প্রয়োজন হয় না। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটি বন্ধ রেখে আরেকটা করবে এভাবে হয়না।’

রিজভী বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। শেখ হাসিনার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল। তার সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের যেন প্রতিযোগিতা চলেছিল। এমন কোনো পরীক্ষা নেই যেখানে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। দেশের লোক উন্নত হোক বা নৈতিকভাবে গড়ে উঠুক শেখ হাসিনা তা কখনো চাননি।’

লুটপাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বড় বড় মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে লুটপাট করেছে। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনারা যারা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছেন তারা দেশের এমন সংস্কার করুন যাতে করে কোনো সময়ে ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়। আপনারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন তা না হলে তো তারা নানাভাবে মাথা চারা দিয়ে উঠবে। এখনো চালের দাম কমেনি।’

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা. মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা ও সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর।

এএইচ