বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে রাজধানীতে দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে কথা বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বিগত সময়ে দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পাঁচশো নেতাকর্মীর প্রাণহানিসহ নানা বিষয়ে কথা হলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আসন্ন নির্বাচন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন দেরি হবার কোন সুযোগ নেই। অন্য পথে সমাধান খুঁজতে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন ব্যতীত আর কোনো পথ নেই। অন্য পথে সমাধান খুঁজতে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে।’
এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কথা বলেন, স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দীন। বলেন, নির্বাচনের কথা উঠলেই মুখ কালো হয়ে যায় উপদেষ্টাদের। তাদের ভাবে মনে হয় ত্রিশ বছর ক্ষমতায় থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘এখানে বসে আপনার কিংস পার্টি করার চেষ্টা আপনারা করবেন না। প্রফেসর ইউনূস অনেক সম্মানিত ব্যক্তি। সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি যোগ্য মানুষ। কিন্তু নাবালকদের কথায় চলবেন না। দেশের জ্ঞানী মানুষ ও রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ করে দেশ চালান। যত দিন যাবে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে।’
যে সব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তবায়নে দুই তিন মাসের বেশী লাগার কথা নয় বলেও জানান তারা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কোনো দলের, কোনো গোষ্ঠীর, কোনো ব্যক্তির একমাত্র তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে, তাদের সিদ্ধান্তে আগামী দিনের বাংলাদেশের পরিবর্তন সংস্কার হবে সেটা ভুল হবে।’
তারা বলেন, দেশ ছাড়ার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় দেশ আওয়ামী লীগ ও ভারতের ষড়যন্ত্রের শিকার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।