এক হাতে লাঠি, প্রসারিত দুই হাত, সামনেই পুলিশ, বুক পেতে দাঁড়িয়ে আবু সাইদ কিংবা ১৮ জুলাই মীর মুগ্ধের পানি বিতরণের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত অথবা উত্তরায় বাসার বারান্দায় শুকনো কাপড় আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত নাঈমা সুলতানা। এই ছবিগুলো এখন চিরন্তন।
ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় জায়গা করে নিয়েছে ২৪'র ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান। কেমন ছিল জুলাই আগস্ট! সেই স্মৃতিই আবার ফিরিয়ে আনতে আজ (শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলায় প্রথম আলো আয়োজন করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর। উঠে আসে ২৪'র আন্দোলনের ছবি, আর জায়গা পায় ৫ জন শহীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, পরিবেশ উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টাসহ সাধারণ মানুষ।
এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘জুলাইয়ে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
গণতন্ত্র আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে নিরপেক্ষভাবে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গঠন করতে পারলেই ২৪ এর আন্দোলনের সার্থকতা আসবে।'
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বায়ু দূষণের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ আসে ভারত থেকে। এইটা ৫ মাসে কীভাবে সমাধান করা যাবে? ২৮ ভাগ আসে বিভিন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। আশা করছি আগামীতে সাভার, ধামরাই এর দিকে ইট ভাটা বন্ধ করে দিবো নয়তাবা এমন কিছু করতে হবে যেন আমাকে আর অভিযান পরিচালনা না করতে হয়।’
মিথ্যাচার করে ইতিহাস ও শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের শিশু কিশোরদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি নাই। মিথ্যাচার করেছি। মিথ্যার উপর শাসন ব্যবস্থা করেছি। মিথ্যার উপর ইতিহাস লিখেছি। গায়ের জোরে সেটা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এই কারণে এই বাচ্চারা সেটা ঘৃণা করেছে।’
জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস যেন বিকৃত বা মুছে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।