দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দুয়ার খোলে ২০২২ সালের আগস্টে। এরপর ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে টিকিট জটিলতার কারণে যেতে পারেনি প্রায় ১৮ হাজারের মতো কর্মী।
সে সময় সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ৭৯ হাজার টাকা নির্ধারিত হলেও অনেককেই গুনতে হয় কয়েকগুণ বেশি টাকা। পরে রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে কেউ কেউ টাকা ফেরত পেলেও অনেকেই না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমন বাস্তবতায় রাস্তায় আন্দোলনে নামে ভুক্তভোগীরা। বুধবার সকাল থেকে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারা মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া পাঠানোর দাবি জানান তারা।
রাস্তা অবরোধ করায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে পুলিশ বাঁধা দিলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তবে পুলিশি বাধায় রাস্তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আন্দোলনকারীরা। পরে মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা।
এদিকে, আন্দোলনের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। যেতে না পারা কর্মীদের মার্চের দিকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত করছি উনাদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে এবং দুইটা ফরমালি মিটিং হয়েছে। সেখানে তারা আমাদের ফেজ বাই ফেজ সমস্যার সমাধানের কথা বলেছে।’
সরকারি নীতি মেনে মালয়েশিয়া পাঠানোর পাশাপাশি নতুন করে অর্থ দেয়ার বিড়ম্বনায় যাতে তৈরি না হয় সে ব্যাপারেও আশ্বাস দেয়া হয়।