ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'বিভিন্ন সংস্থাগুলো তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরাসরি রাস্তায় নেমে আসে। তারা মনে করে রাজপথ বন্ধ করলেই দ্রুত দাবি আদায় হবে। এতে মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগরবাসীকে রাস্তায় বসে থাকতে হয়। একটি রাস্তা বন্ধ হলে পুরো ঢাকা অচল হয়ে পড়ে।'
দাবিগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপস্থাপন করে তা সমাধানের চেষ্টা করার অনুরোধ করেন তিনি।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, 'অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ক্র্যাবের সাথে ডিএমপির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অতীতে ক্র্যাব যেভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহায়তা করেছে আগামীতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখবে। অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে আমার সহকর্মীদের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়। ভুল ত্রুটি সংশোধন করে যাতে নগরবাসীকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারি সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।'
ক্র্যাবের নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবে তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, 'আপনাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে আমার কাছ থেকে বা আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য নিয়ে প্রকৃত ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।'
ছিনতাই প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশকেও ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তারা ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করছে । ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ছিনতাই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।'
তিনি বলেন, 'নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নগরবাসীকে ভালো রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য একজন পুলিশ সদস্যকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ঢাকাবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাব।'
এসময় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা, ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি