দেশে এখন
0

'দেশের সম্মান-গৌরব রক্ষায় সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে'

দেশের সম্মান ও গৌরব রক্ষায় সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (রোববার, ৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ি সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলন দেখেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় সেনাবাহিনীকে বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শীতের দুপুরে রাজবাড়ীর সাদার চরে হানা দেয় একদল বিদেশি শত্রু। লাল পতাকা শিবিরে অবস্থান নেয়া শত্রু পক্ষকে ঘায়েল করতে কামান, আর্টিলারি, মেশিনগান নিয়ে ছুটতে থাকেন সেনারা। শুরু হয় যুদ্ধ।

এটি সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শত্রুর বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই রণকৌশল দেখতে রোববার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে অনুশীলনস্থলে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান।

সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে এতে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম। শত্রু শিবিরে হামলা করতে এগিয়ে যায় যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাংক। শত্রুর বাংকার লক্ষ্য করে শুরু হয় গোলা বর্ষণ।

আরেকদিক থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে এগিয়ে এলাকায় এগিয়ে যায় এপিসি, সঙ্গে অস্ত্র সজ্জিত পদাতিক বাহিনী। যারা জলে,স্থলে, আকাশে কিংবা দুর্গম পথে শত্রুপক্ষের উপর আক্রমণ চালাতে সক্ষম, সাহসী সৈনিক।

এদিকে বিকট শব্দে উড়তে থাকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান। মুহুর্তেই শত্রুর আকাশ সীমায় আধিপত্য বিস্তার করে নেয়। পদাতিক বাহিনীকে সহায়তায় এগিয়ে আসে আর্মি এভিয়েশনের বিমান এবং হেলিকপ্টার।

যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা অপসারণসহ পদাতিক বাহিনীকে সহায়তা করে ইঞ্জিনিয়ার্স কোর। শত্রুপক্ষের অবস্থান জানানো এবং কমান্ডোদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিগান্যাল কোর।

অবশেষে শত্রুর সঙ্গে চূড়ান্ত বোঝাপড়া। বাংলার দামাল ছেলেদের সাহস আর নৈপুণ্যে পরাস্ত দখলদার বাহিনী। তখন সবুজ শিবিরে বিজয়োল্লাস।

এ-ই মহড়া দেখে ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'একজন শান্তিকামী মানুষ হিসেবে আমি বলাবরই যুদ্ধের চেয়ে শান্তির মহরা দেখতে বেশি আনন্দ বোধ করি। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে প্রস্তুতির লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।'

দেশের সম্মান ও গৌরব অটুট রাখতে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

এসএস