বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসে নাসিম উদ্দিন আকনের কর্মীরা ও সাতুরিয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন আকন বিএডিসি’র খাল কাটা কর্মসূচির ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে আরিফুর রহমান তুহিনের ভাই আতিকুর রহমান কাইউম তাতে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত মাসজুড়ে বারংবার মামুন আকনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ হানা দেয় এবং কাইউমকে খুঁজতে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তাকে বাসায় না পেয়ে তার বাবা-মাকে গালাগাল করেন এবং তাদের কাজে বাধা দিলে তুহিন ও কাইউমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এছাড়াও নাসিমের অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করলে তারা তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীদের বাড়িতে যান। ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকজনও চলে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। বর্তমানে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বিবৃতিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি এই চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বলা হয়, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার এলজিইডি’র চলমান উন্নয়ন কাজের ঠিকাদাররা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসিম উদ্দিন আকনের চাঁদাবাজির কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না মর্মে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তুহিন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেন এবং চাঁদাবাজির বিপক্ষে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি