রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া, জ্বালানি আমদানিতে অনিয়ম ও প্রিপেইড মিটার স্থাপনে হরিলুটসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির নানা চিত্র দেখা যায় গত দেড়যুগে। এখাতের বিভিন্ন চুক্তি বা কেনাকাটার তথ্য আইন করেই গোপন রেখেছিল হাসিনা সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই খাতের ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে সরকারি-বেসরকারি প্রতিবেদনে। এবার বিএনপিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ লুটপাট হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। যার সাথে যুক্ত সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীসহ ৫টি বড় গ্রুপ। আজ (বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, '১৫ বছরে মোট খরচ ২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিয়োগ হারে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জে লুটপাট ১ লাখ কোটি টাকা।'
তিনি বলেন, বিগত সরকার এই খাতকে তাদের ব্যবসা আর লুটপাটের খাতে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কারণে ২০২৭ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ সব প্রকল্প রিভিউ করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।'
তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টা রিভিউ করবো। রিভিউ করার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’
এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিটি চুক্তি জনগণের সামনে উন্মোচনের দাবি জানান বিএনপি নেতারা।