মাত্র দু-দিন পরই শুরু হচ্ছে নতুন বছর- নতুন শিক্ষাবর্ষ। এর আগেই, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিপুলসংখ্যক বই স্কুলপর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। উপজেলা থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নতুন বই।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার সকালে ময়মনসিংহ নগরীর নওমহল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুদাম থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই।
জেলার ১৩ উপজেলার ১০টিতে ৩ শ্রেণির বই আসলেও ধোবাউড়া, গফরগাও ও ভালুকা উপজেলায় এখনো কোনো শ্রেণির বই পৌঁছেনি। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ময়মনসিংহের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল বাকী বলেন, ‘ধোবাউড়া, গফরগাও ও ভালুকা এই তিন উপজেলার আমরা এখনো বই পাইনি। বই আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বইগুলো উপজেলার শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেব।’
একইভাবে নাটোরেও শিক্ষকদের হাতে বই পৌঁছে গেছে। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া গেছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই। তবে এখনও আসেনি চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বই। শিক্ষকদের নতুন বই বুঝিয়ে দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিস।
নোয়াখালীতেও নতুন বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। চাহিদার চেয়ে বইয়ের সংখ্যা অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
নোয়াখালী সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপার কাজ চলছে। আমরা জানুয়ারির প্রথমার্ধে সব পেয়ে যাব এমনটা তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে।’
নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় প্রাথমিক স্তরে নতুন বইয়ের চাহিদা ১৬ লাখ। বিপরীতে এখন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে মাত্র ৭ লাখ ৮৪ হাজার বই। ফলে, নতুন বছরের শুরুতেই জেলার অন্তত অর্ধেক শিক্ষার্থী নতুন বই উদযাপন থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।