‘দুইদিন ধরে আমি অজ্ঞান ছিলাম, আমার কোনো হুঁশ ছিল না। অপারেশনের করার পর আমার হুঁশ আসে।’ স্মৃতিচারণ করে বলছিলেন গণঅভ্যুত্থানে আহতদের একজন, আরেকজন বলেন, ‘আমার চোখের সামনে একটা ছেলের হাত নিয়ে যায় ওরা, তখন থেকে আমি প্রতিজ্ঞা করেছি বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত ঘরে যাব না।’
এভাবেই জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগের বর্বরচিত হামালার ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আন্দোলনে অংশ নেয়া আহতরা। এদের মধ্যে কেউ হাত, পা আবার কেউ হারিয়েছেন চোখ।
আজ (শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর) সকালে, পল্টনে জুলাই আন্দোলনে আহতদের নিয়ে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগরী জামায়াত ইসলাম। আহতরা বলেন, পঙ্গুত্ববরণ করলেও নেই কোন অনুশোচনা বা আফসোস। তাদের কণ্ঠে নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার তৃপ্তি।
আহতদের অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার আহ্বান জানান জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আহতরাই বলেছে এক পা চলে গিয়েছে দরকার হলে আরো এক পা দেবো তবুও কোনো ফ্যাসিবাদকে আমরা বরদাস্ত করব না। ফ্যাসিবাদীরা মানুষ নয়, মানুষ হলে মানুষকে এভাবে খুন করতে পারে না।’
অভুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের হামলায় অনেকেই হারিয়েছেন কর্মক্ষমতা। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে অনেক পরিবারই এখন বিপাকে। এমন পরিবারের পাশে থাকার কথা জানালেন জামায়াতের আমির। একইসাথে, দেশে আর যেনো স্বৈরচার ফিরতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আহত ভাইগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হয়, সেখানে হাসপাতালে না রেখে যদি তাদের বাহিরেও রাখতে হয় তাহলে আমরা কথা দিচ্ছি, ভিক্ষা করে হলেও তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করব।’
অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের আমলে নিপীড়েনর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।