দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া কনসার্ট বিকেলের মধ্যে পরিণত হয় জনসমুদ্রে। তাতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় যেন সব যান চলাচল থমকে যায়। যানজটে বসেও কনসার্ট উপভোগ করেন শ্রোতারা।
কনসার্টের আয়োজক সংগঠন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক ও সদস্যরা বলেন, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন কাটিয়ে দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার ও গুরুত্ব তুলে ধরাই লক্ষ্য।
সন্ধ্যায় যুক্ত হয় আরো হাজার হাজার শ্রোতা। রঙিন আলো সুর হয়ে আঁচড়ে পড়ে মানুষের তরঙ্গে। একে একে বেবী নাজনীন, মনির খান, আসিফ, কণা, ইমরান, প্রীতম, ও জেফারসহ বাউল গানের শিল্পীরা মঞ্চ মাতান।
তারপর ব্যান্ড ডিফারেন্ট টাচ, আর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা ও সোনার বাংলা সার্কাস সংগীত পরিবেশন করেন।
সবশেষে রাত সাড়ে ৯টায় স্টেজে আসেন সবার কাঙ্ক্ষিত শিল্পী নগরবাউলের জেমস। শোনান তার বিখ্যাত সব গান।
হাল সময়ের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কনসার্টের মধ্য দিয়ে বিজয়ের উল্লাসে প্রতিধ্বনিত হয় সবার আগে বাংলাদেশ। বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিপরীতে তরুণ, প্রবীণ সব শিল্পী সুর তোলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের। সংস্কৃতির এই মিলনমেলায় বার্তা আসে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার।