দেশে এখন
0

গোপন বন্দিশালা থাকার কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব মহাপরিচালক

দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ

গুম খুনের অভিযোগ স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চাইলো র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এমনকি র‍্যাবের আয়নাঘর বা গোপন বন্দিশালা ছিল বলেও স্বীকার করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। আর সেজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের শাসনামলে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল র‍্যাব। তবে আওয়ামী লীগের গেল ১৫ বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হয়ে আইনের রক্ষক হয়েও ভক্ষক হিসাবে সমালোচিত হয় বাহিনীটি।

এসব অভিযোগ তুলে সম্প্রতি পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাছে র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে বিএনপি। এমন আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাহিনীটির মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। বিগত দিনে বাহিনীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চান ভুক্তভোগীদের কাছে।

গুম ও খুনের অভিযোগ স্বীকার করে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে র‍্যাবের দায়মুক্তি সম্ভব।'

এসময় র‍্যাবের শতাধিক বন্দিশালা বা কথিত আয়নাঘরের কথাও স্বীকার করেন মহাপরিচালক। তিনি জানান, র‍্যাবের কেউ আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, 'কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আয়নাঘর যেভাবে ছিল, ওইভাবেই রাখার জন্য। আমরা তাই করেছি, এতে কোনোরকম পরিবর্তন এখনও করা হয়নি। অতীতে যে অবস্থায় ছিল সেভাবেই রাখা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও চার হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।'

এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, '৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব।'

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে জঙ্গি আটক নাটক কিনা এমন প্রশ্নের জবাব কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক জবাব দেন, জঙ্গিদের তৎপরতা ছিল। র‍্যাব জঙ্গি দমনে বরাবরের মতো কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

এসএস