আয়নাঘর
বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার-দমনের কালো আইন যেভাবে বৈধ হয়ে উঠলো
'৭৪ এর বাকশাল থেকে '২৪ সালের আয়নাঘর
১৯৭৪ এর বাকশাল আর ২০২৪ এর বেআইনি আয়নাঘর। বিনা অপরাধে যে কাউকে গ্রেপ্তার ও দমন কীভাবে হয়ে উঠলো আইনগতভাবে বৈধ? কেউ ডাকেন কালো আইন আবার কেউ বলেন, নিবর্তন বা নিপীড়ন আইন, তবে বার বার সরকারের বদল হলেও বিনা অপরাধে বিরোধীমত দমনের এই আইন পরিবর্তন করেনি কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও এই আইন বাতিলের এখন বিকল্প নেই।
আয়নাঘরের নির্যাতন থেকে মামলা-রিমান্ড সবই ভুগিয়েছে নাহিয়ানকে
আয়নাঘরের মতো গোপন সেলে যেতে হয়েছে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে। বাদ যায়নি লেখক, নির্মাতা, শিল্পী থেকে সাংবাদিকও। করা হয়েছে অমানসিক নির্যাতন। মুক্তির নামে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয়া হয় লাখ লাখ টাকা। এমন হাজারো ভুক্তভোগীর একজন লেখক ও অভিনয় শিল্পী নাহিয়ান। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর দাবি উঠেছে, এমন গুম নির্যাতনে জড়িতেদের শাস্তিসহ ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণের।
কেমন আছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার?
১৭ বছরে অপহৃত ৬২৯ জন
গুম হওয়া মানুষের তালিকা দীর্ঘ। কারও সন্তান, কারও বাবা আবার কারও স্বামী। বেশিরভাগই গত আওয়ামী সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে গুম হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন বলছে, গত ১৭ বছরে সারাদেশে অপহৃত হয়েছে ৬২৯ জন। তাদের কেউ কেউ ফিরে এলেও আজও নিখোঁজ আছেন অনেকে। স্বজনদের দাবি, গুমবিরোধী কনভেনশন আর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি তাদের।