ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তিতে নাম লেখায় ২০১৭ সালে। ১ হাজার ৬শ' মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে থাকে।
তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার উচ্চমূল্য, স্বাভাবিক দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম পরিশোধের কারণে চুক্তি নিয়ে তৈরি হয় নানা বিতর্ক।
কঠোর গোপনীয়তায় করা আদানির এই চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয় সম্প্রতি।
বিগত সরকারের করা এই চুক্তির সমালোচনা করে পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া অসম চুক্তি ও অস্বাভাবিক ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। এই চুক্তি পুরোপুরি বাতিল করা চ্যালেঞ্জিং হলেও এটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছেও বলে তিনি জানান।
এই খাতকে সমৃদ্ধ করতে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিক বলেও জানান তিনি। বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গার্মেন্টসসহ ভারী শিল্প কারখানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দেন উপদেষ্টা।
এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা অভিযোগ করে বলেন, অতীতে এই খাতে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছিল। দুর্নীতি রোধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নে জমি বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
এনার্জি প্রসপারিটি ২০৫০'র কনফারেন্সে অংশ নিয়ে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সহজীকরণ করতে সরকারি উদ্যোগের সাথে বেসরকারি খাতকেও গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।