২০০২ সালে ঝালকাঠির গাবখান, ধানসিড়ি, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চরে ৫৫ একর খাস জমিতে ন্যাশনাল ইকোপার্ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। যা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল বন বিভাগের।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থানটিতে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা পেত আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র।
২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ কোটি টাকা। বালু ফেলে ভরাট করা হয় প্রকল্প এলাকা। কিন্তু বাঁধ সাধে প্রকল্পটির ৩৫ একর জমির মালিকানা দাবি তুলে মামলা করে স্থানীয় একটি মহল। পরে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যায় প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘ সময়েও ইকোপার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসক বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। সরকারের দখলে রয়েছে প্রকল্পের সব জমি। জটিলতা কেটে গেলে, দ্রুতই স্থাপনা নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইকোপার্কের সম্পর্কিত মামলার আইনজীবী সাকিনা আলম লিজা বলেন, ‘আমরা আশা করছি মামলা তিনটার সুষ্ঠু বিচার হোক এবং আমরা যেন সুষ্ঠু বিচার পাই।’
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘মামলা সরকারের পক্ষে নিষ্পত্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।’
ধানসিড়ি ন্যাশনাল ইকোপার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। একই সাথে স্থানীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।