শিক্ষা
এখন জনপদে
0

ঝালকাঠিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, সংস্কার কাজ চলছে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।

খসে পড়েছে দেয়াল আর ছাদের পলেস্তারা। বেড়িয়ে পড়েছে রড, দরজা-জানালাও ভগ্নদশা। এমন অবস্থার মাঝেই চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান।

১৯০৯ সালের ব্রিটিশ সরকার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। স্কুলটির দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৭২ সালে। এরপর দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনটির সবগুলো ক্লাসরুম এখন জরাজীর্ণ। পাঠদানের পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ। সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলছেন, শ্রেণীকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ক্লাস চলার সময়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাবি, বিদ্যালয় ভবনটির একাংশের সংস্কার কাজ চলমান। কাজ শেষ হলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমাদের শ্রেণি কক্ষগুলো জরাজীর্ণ অবস্থা রয়েছে। পাঠদানের সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।’

ঝালকাঠি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাধ্যমে

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। এখন ছয়তলায় মেরামত কাজ চলছে। মেরামত কাজ শেষ হলে আশা করা যায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদানের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’

১৮৭২ সালে মহারাজগঞ্চ হাইস্কুল নামে যাত্রা করা এ বিদ্যাপীঠ ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে ১৯০৯ সালে জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে ১৩ একর জমিতে ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতি ও দিবা এই দুই শিফটে এক হাজার ৭'শ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এএম