ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় মৃৎশিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে কুমার সম্প্রদায়। মাটি দিয়ে বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরি করেই ঘোরে তাদের ভাগ্যের চাকা। তবে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাজার ভরেছে প্লাস্টিক ও মেলামাইন দিয়ে তৈরি নানা পণ্যে। ফলে আগের তুলনায় কমেছে মাটির তৈরি সামগ্রীর কদর, কমেছে ব্যবহার।
জেলার সদর উপজেলার নবগ্রাম, নলছিটির কুমারখালিসহ রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জিনিসপত্র তৈরিতে এক সময় ব্যস্ত থাকতো সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
তবে, চাহিদা কমায় ও উৎপাদন খরচ বাড়ায় এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই পেশা বদল করে বেছে নিচ্ছে অন্য পেশা। বংশপরম্পরায় পাওয়া এ পেশার সঙ্গে এখনও যারা জড়িয়ে আছেন তারাও ভুগছেন অস্তিত্ব সংকটে।
যেখানে ৫ বছর আগেও এই পেশার সাথে জড়িত ছিল দুইশরও বেশি পরিবার সেখানে বর্তমানে মাত্র ১০ থেকে ১২টি পরিবার এ পেশায় যুক্ত আছে। মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবী জানিয়েছেন পেশাদার মৃৎশিল্পীরা।
আর, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তার কথা জানালেন বিসিকের এই কর্মকর্তা।
ঝালকাঠি বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক আলী আসগর নাসির বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যব্হার না করার কারণে এ শিল্প কিছুটা বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু এতে অন্যরকমের একটা গুরুত্ব আছে। বিদেশেও এ শিল্পের বিভিন্ন কাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে মৃৎশিল্প রক্ষায় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন আশা সংশ্লিষ্টদের।