অর্থনীতি
0

অস্তিত্ব সংকটে ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

ঝালকাঠিতে এক সময় মৃৎশিল্পের জমজমাট বাজার ছিল। তবে, বর্তমানে টিকে থাকতে পারছে না ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। বিভিন্ন সমস্যার সাথে এ খাতকে ভোগাচ্ছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি উদ্যোগ না নিলে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় মৃৎশিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে কুমার সম্প্রদায়। মাটি দিয়ে বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরি করেই ঘোরে তাদের ভাগ্যের চাকা। তবে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাজার ভরেছে প্লাস্টিক ও মেলামাইন দিয়ে তৈরি নানা পণ্যে। ফলে আগের তুলনায় কমেছে মাটির তৈরি সামগ্রীর কদর, কমেছে ব্যবহার।

জেলার সদর উপজেলার নবগ্রাম, নলছিটির কুমারখালিসহ রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জিনিসপত্র তৈরিতে এক সময় ব্যস্ত থাকতো সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।

তবে, চাহিদা কমায় ও উৎপাদন খরচ বাড়ায় এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই পেশা বদল করে বেছে নিচ্ছে অন্য পেশা। বংশপরম্পরায় পাওয়া এ পেশার সঙ্গে এখনও যারা জড়িয়ে আছেন তারাও ভুগছেন অস্তিত্ব সংকটে।

যেখানে ৫ বছর আগেও এই পেশার সাথে জড়িত ছিল দুইশরও বেশি পরিবার সেখানে বর্তমানে মাত্র ১০ থেকে ১২টি পরিবার এ পেশায় যুক্ত আছে। মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবী জানিয়েছেন পেশাদার মৃৎশিল্পীরা।

আর, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তার কথা জানালেন বিসিকের এই কর্মকর্তা।

ঝালকাঠি বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক আলী আসগর নাসির বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যব্হার না করার কারণে এ শিল্প কিছুটা বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু এতে অন্যরকমের একটা গুরুত্ব আছে। বিদেশেও এ শিল্পের বিভিন্ন কাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে মৃৎশিল্প রক্ষায় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন আশা সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ