বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত কয়েক হাজার ছাত্র জনতা। তাদের একাংশ চিকিৎসাধীন বিজিবি হাসপাতালে। রোববার এদের ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা ও ৩ জনকে জীবিকা উপকরণ তুলে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবার আগে প্রতিরোধ করে বিজিবি।
অনুষ্ঠানে, দ্রুত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানানোর পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়াদের সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাদত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যখন আসতাম, যেতাম এ চেতনাকে ধারণ করতাম, এ বিচারের কথাটি আমরা অন্তত প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে যাব। এবং সৃষ্টিকর্তা হয়ত অন্তত আমাদের এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দিয়েছে। আমরা আপনাদের মধ্য থেকে এ দাবিটা আরো বেশি বেশি চাই।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে বিজিবিকে ডিফেন্স ফোর্স হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, দেশ রক্ষায় প্রতিটি সাধারণ মানুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্তর্গত হতে হবে। তারা যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে তাদের কাজ নয় পুলিশের অভাবে পুলিশের কাজ করা। কোনো রাষ্ট্র এ কাজ করে না।’
চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইলিশ যাতে ভারতে যেতে না পারে সে জন্য বিজিবিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান মৎস্য উপদেষ্টা। এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে জোরালো দায়িত্ব পালনে বিজিবিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিজিবিকে দেশের সীমান্তের সুরক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে সমানভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজিবিকে প্রয়োজন বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।