সম্প্রতি ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বাংলাদেশের পতাকা অবমাননাসহ মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রতিবাদে বিএনপির প্রতিবাদ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি কর্মসূচি।
সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। গন্তব্য বারিধারার ভারতীয় দূতাবাস।
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো নয়াপল্টন এলাকা। প্ল্যাকার্ডে প্রতিবাদের ভাষা। এসময় নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। বলেন, ভারতের দাসত্ব আর মেনে নেবে না দেশের জনগণ।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের পাশে একটি বড় রাষ্ট্র। আমাদের সঙ্গে ভারত সবসময় একটি বৈষম্যমূলক আচরণ করে।’
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতের প্রতি আহ্বান জানাই, ‘আমরা বন্ধু রাষ্ট্র চাই।’
আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের শাসকরা যা করছে তা আগ্রাসী মনোভাব ছাড়া কিছু নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের শাসক শ্রেণি যা করছেন এটা পৃথিবীর ইতিহাসে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই যে এক ভয়ংকর মিথ্যা কথার বেষ্টনি তৈরি করে গোটা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সেটাতে কোনো লাভ হবে না।’
সকাল সাড়ে ১১ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাটি পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে রামপুরায় শেষ হয়। পরে যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।