ঘাতক বুলেট কেড়ে নিয়েছিল আবু সাঈদের প্রাণ। পুলিশের গাড়ি থেকে ফেলে না দিয়ে চিকিৎসা দেয়া গেলে হয়তো বেঁচে যেতো ইয়ামিনের প্রাণ।
তারা আজ ছবি হয়ে স্মৃতির পাতায়। স্মরণে বরণে রয়ে গেছে প্রজন্মের অন্তরে। আজ (শনিবার, ৭ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে এসব বীরদের স্মরণ করে ইসলামী ছাত্র শিবির। প্রদর্শনীতে তুলে ধরে পুরো জুলাই-আগস্ট মাসের বর্বরতাকে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আবির হারিয়েছেন তার বন্ধুকে। এই প্রদর্শনী দেখতে এসে হাতড়িয়ে বেড়ালেন সে স্মৃতি, যেন আজও মনে পড়ে সহপাঠীকে।
তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমি দেখেছি যে পুলিশের কাছ থেকে অনেক রকমের আক্রমণ হয়েছে।’
স্কুল কিংবা কলেজ শিক্ষার্থী। সেই দুঃসহ দিনগুলো যেন এখনও তাদের স্মৃতিপটে সাক্ষ্য দিচ্ছে। কেউ নিজেই হয়েছেন এই নির্মমতার শিকার, কেউবা হারিয়েছেন খুব কাছের বন্ধু সহপাঠীদের।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘খারাপ লাগছে এই আন্দোলনে অনেকের প্রাণ গিয়েছে।’
আরেকজন বলেন, ‘গভীরভাবে মনে পড়ছে। কারণ সব কিছুই চোখের সামনে ঘটেছে।’
জুলাইয়ের শিক্ষা যেন আগামীর বাংলাদেশ ধারণ করতে পারে সেই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করলেন গ্যালারিতে আশা দর্শনার্থীরা। জানান, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তাদের। বাকস্বাধীনতা থেকে মৌলিক অধিকার সবই থাকবে এ যাত্রায়।
শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি আমরা। সন্ত্রাস নয়, শিক্ষাঙ্গনে ফেরাতে চাই শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ।’