একইসাথে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক ও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিহতের লাশ ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আজ (শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় বিজিবির নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) অধীনস্থ ঘাগড়া বিওপির ২টি টহলদল পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোমিনপাড়া এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় সীমান্ত পিলার ৭৫১/৮-এস এবং ৯-এস এর শূন্যলাইন থেকে আনুমানিক ১৫ গজ ভারতের সীমান্ত অভ্যন্তরে শিংপাড়া নামক স্থানে প্রতিপক্ষ ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় তিন থেকে চার রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পায়।
প্রতি উত্তরে বিজিবি দল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের বিপরীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোমিনপাড়া নামক স্থানে কয়েক রাউন্ড সতর্কতামূলক ফায়ার করে।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, এদিন ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে চানাকিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা দেখতে পায় সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় ও বাংলাদেশি চোরাকারবারি গরু পাচারের চেষ্টা করছে। এ সময় বিএসএফ তাদের বাধা দিলে চোরাকারবারিরা বিএসএফ জওয়ানদের ওপর হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ সদস্যরা প্রথমে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করে।
পরে তিন থেকে চার রাউন্ড ফায়ার করে। এই ফায়ারে একজন চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। বিএসএফ আরও জানায়, ঘটনাস্থলে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে দু’টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে। এসময় বিজিবির ঘাগড়া বিওপির টহলদলও ঘটনাস্থলের বিপরীতে মোমিনপাড়া সীমান্ত থেকে চোরাচালানের একটি গরু আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবির নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) জানায়, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, চোরাচালান দমন এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবির টহল কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পাশাপাশি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার রোধে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়মিতভাবে মতবিনিময় সভা ও বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি