হারিছ চৌধুরীকে সিলেটের কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে দাফনের আদেশও দিয়েছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচালককে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
নির্দেশ অনুযায়ী, সাভারের জালালাবাদ এলাকায় ২০২১ সালে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে দাফন করা মরদেহটি গত ১৬ অক্টোবর কবর থেকে তোলা হয়। মরদেহ উত্তোলন করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে ইতিবাচক ফল আসে, যার মধ্য দিয়ে হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়।
হারিছ চৌধুরী বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। পরে বিভিন্ন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।