এর আগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের ভাই মো. জসিম মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. ময়না মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাসেদ মিয়া (২২), মৃত কালু খাঁনের ছেলে মো. আলম খাঁন (৫৫), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মোছা. কমলা আক্তার (৩৫)।
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুন (৫৫), একই গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে মো. আজিম আলী (৩৬) ও নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ (২৮)।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক হাসান বলেন, 'সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. ময়না মিয়া ও মো. বাসেদ মিয়াকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক ইকবাল মাহমুদ আগামী ৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।'
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসানের ছেলে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। তারই চাচাতো ভাই রঞ্জুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে।
নিহত ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বীর, সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।