স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য-সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে 'পুলিশ সংস্কার' এখন সময়ের দাবি।
সে লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে 'পুলিশ সংস্কার কমিশন' গঠন করেছে যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন সর্বসাধারণের মূল্যবান মতামত জানতে 'কেমন পুলিশ চাই' শিরোনামে জনমত জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ চাওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের মধ্যে সর্বাধিক মতামত এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে নিরপেক্ষ পুলিশ এবং তৃতীয় অবস্থানে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাওয়ার ক্যাটাগরিতে মতামত এসেছে।
জরিপে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার বিষয়ে ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
এছাড়া গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা। ভুয়া এবং গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন উত্তরদাতা। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে উত্তরদাতাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুরুষ। নারীদের অংশগ্রহণের হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭ দশমিক ২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
এছাড়াও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ অধ্যাপক/শিক্ষক, আইনজীবী ১ দশমিক ১ শতাংশ, সাংবাদিক ১ দশমিক ১ শতাংশ, চিকিৎসক ১ দশমিক ৮ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ার ৭ দশমিক ১ শতাংশ, দশমিক ৪ শতাংশ কৃষিবিদ, দশমিক ৯ শতাংশ এনজিওকর্মী, ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবাসী, দশমিক ৩ শতাংশ কৃষক, ১ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমজীবী এবং অন্যান্য কর্মজীবী ৫ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা অংশ নেন।