ডামি ভোট, রাতের ভোট আর ভোটারবিহীন নির্বাচন, আওয়ামী সরকারের গত তিন মেয়াদে বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়েই ২৪ নভেম্বর এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে নতুন নির্বাচন কমিশন।
আজ (সোমবার, ২ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম কমিশন সভা। উপস্থিত ছিলেন চান কমিশনার, ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আলোচনা হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে গণমাধ্যমে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আগামী বছরের ২ মার্চ ভোটার তালিকার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধন হয়েছে। তালিকায় অনেকেই বাদ পড়েছে। সেই সংখ্যাটা ২৫ থেকে ২৭ লাখ। বাদ পড়াদের তালিকায় যুক্ত করতে বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আগামী বছরের ২ মার্চ ভোটার তালিকার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। বাদ পড়া ভোটার ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবে অর্থাৎ ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যারা ভোটার হবে তাদেরকে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো।’
১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিলো। বাকিরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘তফশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত একটা সম্মুখ সময়ে যেন বিশেষ কোনো অর্ডিন্যান্স জারি করে হোক যারা ভোট দেয়ার যোগ্য তাদেরকে যে হালনাগাদ করতে পারি।’
বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ৪ নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়নি, তবে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রাপ্ত আপত্তিসমূহ কমিশনকে জানানো হয়েছে।