দেশে এখন
0

আদালত আ.লীগকে নিষিদ্ধ না করলে তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই: সিইসি

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও আদালতের বিষয়। সরকার বা আদালত নিষিদ্ধ না করলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম।নাসির উদ্দিন। আজ (সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর) ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, আগের কমিশনের মতো চাপ নেই।

জুলাই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ভোটারদের। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত জানায়নি অন্তবর্তীকালীন সরকার। এরই মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া তৈরি ও সংশোধনের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ উপলক্ষ্যে এনআইডি সংশোধনে ভোটারদের দুর্ভোগ লাঘব, তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, 'আওয়ামী লীগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সরকার বা আদালত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে বিদ্যমান আইনে তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও আদালতের বিষয়।’

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো বহির্শক্তির চাপ নেই দাবি করে সিইসি বলেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, ডানে বামে বা কোনো বহির্শক্তির চাপ নেই। শুধু বিবেকের ও আইনের চাপ আছে। আগামী নির্বাচন আগের তিনটি নির্বাচনের মতো হবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এর মতো নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন সবার্ত্মক চেষ্টা করবে।'

নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফেরাতে ছয় মাস পর নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবে। জানুয়ারিতে খসড়া ভোটার তালিকা ও মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। মৃত ভোটারদের বাদ দেয়ার পাশাপাশি বাদ পড়া ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া রোধে কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের অনিয়ম করলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন বলেন, 'বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা সরল বিশ্বাসে কোনো অনিয়ম করলে বিদ্যমান আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিধান নেই। বিগত তিনটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ না হলেও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা তারা ভাবছেন না। আইনে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দেয়া আছে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন কোনো সুপারিশ করলে সেটা ভবিষ্যতে কার্যকর হবে।'

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংবিধান সংশোধন না হলে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন কোনো সুপারিশ করলে সেটা ভবিষ্যতে কার্যকর হবে।

এসএস