দেশে এখন
0

আমন ধান উঠতে শুরু করলেও চড়া বাজার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে নতুন আমন ধান উঠতে শুরু করলেও চড়া হয়ে আছে বাজার। এছাড়া ভারত থেকে আমদানির পর থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। সংশ্লিষ্টদের দাবি মোকামে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় চাহিদা মতো ধান কিনতে পারছেন না চাল কল মালিকরা। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মোকাম আশুগঞ্জে উঠতে শুরু করেছে নতুন মৌসুমের আমন ধান। যাতে গেলো কয়েক মাসের তুলনায় বেড়েছে সরবরাহ। তবে তা এখনও চালকল মালিকদের চাহিদার চেয়ে কম হওয়ায় এখনও চড়া ধানের বাজার।

মূলত জেলার ২৫০ চালকলে ধানের জোগান দেয় আশুগঞ্জের মেঘনা পাড়ের একটি মোকাম। প্রতিদিন কেনাবেচা হয় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার। মৌসুমে যা আরও বাড়ে। তবে গত বোরো মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাড়তে থাকে দাম।

বর্তমানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার মণ ধান মোকামে উঠছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অর্ধেক হওয়ায় প্রতিমণ বিআর-২৮ এক হাজার ৬৫ টাকা, বিআর-২৯ এক হাজার ৫৭০ ও মোটা জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৭০ টাকায়।

একজন ধান ব্যবসায়ী বলেন, 'এই সপ্তাহে নতুন আমন ধান আসতেছে। এ হিসেবে আশা করা যায় ধানের দাম কমার সম্ভাবনা আছে।'

চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে এবারের আমন মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন হবে না।

আশুগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সদস্য হাসান ইমরান বলেন, 'নতুন ধানের যে সরবরাহ, সে অনুপাতে দামটা অনেক বেশি। সেজন্য আমাদের কোনোভাবেই পর্তা হচ্ছে না। ভারতীয় এলসি আসছে আমরা ভেবেছিলাম সেটা পর্তা হেব, কিন্তু সেটাও হয়নি। আমরা যে সরকারকে চাল দিবো, কীভাবে চাল দিবো সেটা নিয়ে সন্দিহান।'

আশুগঞ্জ থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

এসএস