দেশে এখন
0

চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় কর্মবিরতি, এখনও থমথমে পরিবেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় চিন্ময় কৃষ্ণকে আসামি করার দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তার জামিনে শুনানিতে কোনো আইনজীবী অংশ নিলে তা প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতে কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি চলছে। ঘটনার শোক ও ভয়াবহতায় এখনও থমথমে পরিবেশ আদালত পাড়া। ব্যাহত বিচার কার্যক্রম।

ফাঁকা পড়ে আছে এজলাস, করিডরে নেই চেনা ব্যস্ততা। আইনজীবীদের কক্ষে ঝুলছে তালা। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টার চিত্র এটি। আদালতে এ সময় শতশত মানুষের ভিড় থাকার কথা থাকলেও আজ যেন চারিদিকে মাতম, নীরবতার প্রতিবাদ। এ সময় সীমিত আকারে বিচার কার্যক্রম চলায়, ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।

আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। আদালত চত্বর, আইনজীবীদের ভবন, ও বিভিন্ন স্থাপনায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। মানববন্ধন ছাড়াও দিনব্যাপী রাখা হয় নানা কর্মসূচী।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আদালতের জেলা প্রশাসন চত্বরে মানববন্ধনে ঢল নামে প্রতিবাদী আইনজীবীদের। শোকের ভাষা রূপ নেয় বিক্ষোভে। বিচার দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় আদালত পাড়া।

এ সময় হত্যার ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণকে আসামি করার দাবি জানায় জেলা আইনজীবী সমিতি। পাশাপাশি তার জামিন শুনানিতে আদালতে কোনো আইনজীবী দাঁড়ালে তা প্রতিহতের ঘোষণা আসে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমরা সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার অবিলম্বে আদালতে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব। চিন্ময় দাসকে জেলখানায় নাকি ডিভিশন দেয়া হয়েছে, আমি সিনিয়র জেল সুপারকে অনুরোধ করব আপনি সে ডিভিশন প্রত্যাহার করবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে এ ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হোক।’

এদিকে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত অবকাশকালীন প্রীতি সমাবেশ বাতিল করেছে আইনজীবী সমিতি।

এএম