জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নাকি নির্বাচন? কোনটি আগে তা নিয়ে মতভেদ দেখা যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যে।
গেল সেপ্টেম্বরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য চার কমিশনার যখন পদত্যাগ করেন ঠিক তার প্রায় দুই মাস ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠন করা হয় ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি।
নির্বাচনমুখী যে যাত্রা সার্চ কমিটির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করে- তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার তুঙ্গে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে। এসব আলোচনার মাঝেই রোববার দুপুরে শপথ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনার।
নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘সবাই জানতে চাচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ কী, কবে নির্বাচন হবে। দেশি-বিদেশি স্টেকহোল্ডার সবাই অপেক্ষা করছে। আজকে শপথ নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চয়ই একটা ভালো মেসেজ যাবে। তবে শপথ নেয়ার পর যেসব কার্যক্রম রয়েছে আমরা আশা করি সেগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তারা যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যাবে।’
এদিকে নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, নতুন নির্বাচন কমিশন ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাবে এবং ভোটের পরিবেশ থাকবে বেশ শান্তিপূর্ণ।’
নতুন নির্বাচন কমিশনারকে দ্রুত সময়ে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানায় বিএনপির আরেক নীতিনির্ধারক ড. মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘এ সরকারকে আমরা সর্বোতভাবে সহযোগিতা করবো, করছি। কিন্তু এ সরকার অহেতুক কোনো বিলম্ব করলে হবে না। তাদের অত্যাবশ্যক যে সংস্কার তা সম্পন্ন করে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।’