আলোচনা সভায় দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, 'তারুণ্যের দায়িত্ব হলো দুর্নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা। তারুণ্যের উদ্দীপনাকে প্রজ্বলিত করতে পারলে দুর্নীতি দমন সহজ হবে।'
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’২০০৪ এ দুর্নীতি দমন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ এ দু’টি কাজ যুগপৎভাবে পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত বা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব নয়। দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা গেলে দুর্নীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যাবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।'
লিগ্যাল এন্ড প্রসিকিউশনের মহাপরিচালক মীর রুহুল আমীন বলেন, 'কোন অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে কোন নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। যা দুর্নীতি প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।'
বিদ্যমান তথ্যপ্রযুক্তির সমান্তরালে দুর্নীতি মোকাবেলায় দুদকের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি মহাপরিচালক শিরীন পারভীন, অর্থ পাচার রোধে দুদকের করণীয় বিষয়ে মানিলন্ডারিংয়ের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্য পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও প্রস্তুতি বিষয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক দুদকের বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁয়ের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক বক্তৃতা করেন। — সংবাদ বিজ্ঞপ্তি