গেল ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচন নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন ও অবিশ্বাস। আর সেই প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও কমিশনের ভূমিকা।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই হাত দিয়েছে সংস্কার কার্যক্রমে। একগুচ্ছ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে জন আকাঙ্ক্ষার শীর্ষে থাকা স্বতন্ত্র নির্বাচন কমিশনও। ইতোমধ্যেই গঠন হয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে চলছে কমিশনের কার্যক্রম।
এই ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আসে সফররত কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দল। সকালে সাড়ে নয়টার পর কমিশনে আসার পর এই দলকে স্বাগত জানান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের প্রধান কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেসসি। তিনি এ সময় জানান, তারা চায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় কমিশনকে সুপারিশ না করলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে কমনওয়েলথ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সহকারী মহাসচিব লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেসসি বলেন, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করিনি। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমর্থন দিতেই এ বৈঠক। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।’
এসময় সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, সংস্কার কার্যক্রমে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট। এর সাথে যোগ করেন তাদের পূর্ণ সহযোগিতার অঙ্গীকারেরও কথা।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তাদের সঙ্গে মতামত আদান প্রদান হয়েছে। উনারাও চাইছেন আমাদের দেশে একটি সুষ্ঠুু নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এবং এই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা সাহায্য করতে চান। এই আগ্রহ ও উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এখানে এসেছেন।’
কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের অংশ হিসেবে এই আলোচনা পর্ব চলমান থাকবে বলেও জানান বদিউল আলম। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে তালিকাভুক্ত দলগুলোর সাথেও আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে কমিশনের। তবে এই আলোচনায় থাকছে না আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী দলগুলো।